ওয়েব ডেস্ক : পর্যটনপ্রিয় বাঙালির কেউ পছন্দ করেন সমুদ্র, আবার কারও পছন্দ পাহাড়। পাহাড় আর সমুদ্র এই দুইয়ের স্বাদ একসঙ্গে পাওয়া গেলে তো কথাই নেই। বাঙালির সেই জায়গার প্রতি টান থাকবেই। তেমন একটি জায়গা ভাইজাগ। এরকম জায়গা কেরল রাজ্যেও আছে। তবুও বাঙালির প্রথম পছন্দ ভাইজাগ। কারণ, ভাইজাগ কম দুরত্বের এবং কম খরচের। দার্জিলিং, দীঘা ও পুরীর পর বাঙালির সবচেয়ে কাছের জায়গা এটি। তাই এখানে খুঁজলে বাঙালি হোটেল, রেস্টুরেন্টও পাওয়া যায়।
কি দেখবেন
ভাইজাগে অনেক দর্শনীয় জায়গা আছে। উত্তর ভাইজাগে রয়েছে রামকৃষ্ণ বিচ (আরকে বিচ) সাবমেরিন মিউজিয়াম, এয়ারক্যাফট মিউজিয়াম, থোতলাকোকোণ্ডা বিচ, ন্যাচারাল আর্ক, বৌদ্ধ মনাস্ট্রি, ভিমলি বিচ, ঋষিকোণ্ডা বিচ, লুম্বিনী পার্ক, বুধা পার্ক, ভাইজাগ লাইট হাউস, ভিশাখা মিউজিয়াম, কৈলাস গিরি ও রামানাইডু স্টুডিও। দক্ষিণ ভাইজাগে রয়েছে ফিসিং হারবার, রসহিল চার্চ, ডলফিন নোস লাইট হাউস, ইয়ারদা বিচ ও সিমাচলম মন্দির । আর আরাকু ভ্যালিতে দর্শনীয় জায়গা হলো – বোরা কেভ, কালিঝোরা ফলস্, গালিকোকোণ্ডা ভিউ পয়েন্ট, অনন্তগিরি কফি গার্ডেন, ট্রাইবাল মিউজিয়াম, পদ্মপুরান গার্ডেন।
এর মধ্যে উত্তর ভাইজাগ এবং আরাকু ভ্যালির আকর্ষণ বেশি। দক্ষিণ ভাইজাগে বেশ কিছু নির্জন পরিবেশ পাওয়া যায়। আর দেখার মতো সৈকত আছে উত্তর ভাইজাগে। এরমধ্যে রয়েছে ইয়ারদা বিচ, গঙ্গাভরম বিচ, দুর্গা বিচ, রামকৃষ্ণ বিচ, ট্রিনেটি পার্ক বিচ, যদুগুল্লা বিচ, সাগর নগর বিচ, ঋষিকোণ্ডা বিচ, থোতলাকোণ্ডা বিচ, ভিমলি বিচ। পাশাপাশি রয়েছে একাধিক দেখার মতো পার্ক। ইন্দিরা গান্ধী জুলজিক্যাল পার্ক, শিবাজী পার্ক, টেনেটি পার্ক, ভুদা পার্ক, গোকুল পার্ক, লুম্বিনী পার্ক, .মৎস্য দর্শিনী পার্ক।
কিভাবে যাবেন
ট্রেনে খুব সহজে ভাইজাগ পৌঁছোনো যায়। হাওড়া, শালিমার বা সাতরাগাছি থেকে ভাইজাগ যাওয়ার প্রচুর ট্রেন রয়েছে। এইসব ট্রেন পৌঁছতে সময় নেয় প্রায় ১৩ থেকে ১৬ ঘণ্টা।
বিমানেও যাওয়া যায়। তবে বেশিরভাগ বিমানই ভায়া হায়দ্রাবাদ হয়ে যায়। এছাড়া নিজস্ব গাড়ি করেও চলে যেতে পারেন ভাইজাগ।
কখন যাবেন
গরমের সময় না যাওয়াই ভালো। কারণ এমনিতেই এ জায়গা খুব গরমপ্রবণ এলাকা। ভাইজাগে বেড়ানোর সেরা সময় হলো শীত। তাই নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি সেরা সময়।
কোথায় থাকবেন
ভাইজ্যাগ স্টেশন সংলগ্ন এলাকা বা রামকৃষ্ণ বিচ (আরকে বিচ) এলাকায় একাধিক হোটেল রয়েছে। থাকার পক্ষে আদর্শ। কারণ, এই দুই জায়গা থেকে অটো বা ভাড়ার গাড়ি পাওয়া যায় সবসময়।