ওয়েব ডেস্ক : অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীশৈলম মন্দির মিলল ১৪ শতকের প্রাচীন একটি শিবলিঙ্গ। এই মন্দিরটি শ্রী ভ্রমরম্বা মল্লিকার্জুন মন্দির নামে পরিচিত। সম্প্রতি এখানেই একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। সূত্রের খবর, মন্দিরের অ্যাম্ফিথিয়েটারের কাছে একটি মধ্যযুগীয় শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে। অনুমান, ওই শিবলিঙ্গটি ১৪ বা ১৫ শতকের। শিবলিঙ্গের পাশাপাশি তেলেগু লিপি্র একটি শিলালিপিও পাওয়া গিয়েছে। এই শিলালিপিও একই সময়ের বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, শ্রীশৈলম মন্দির একটি উল্লেখযোগ্য তীর্থস্থান। প্রতি বছর হাজার হাজার ভক্ত এবং পর্যটক এই তীর্থস্থানে ভিড় জমান। শিবের ১২টি ‘জ্যোতির্লিঙ্গ’ এবং ১৮টি ‘শক্তিপীঠের’ একটি এই মন্দিরের আরাধ্য দেবতা হলেন ভগবান শিব এবং দেবী পার্বতী।
জানা গিয়েছে, এই মন্দিরের কাছে একটি নতুন রাস্তা এবং প্রাচীর নির্মাণের সময় ওই শিলালিপি আবিষ্কৃত হয়। নির্মাণ শ্রমিকরা এই ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলি খুঁজে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মন্দির কর্তৃপক্ষকে জানায়। পরে মন্দির কর্তৃপক্ষ শিবলিঙ্গ এবং শিলালিপি পরীক্ষা করে আরও বিশ্লেষণের জন্য মহীশূরে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে পাঠায়। প্রাথমিক পরীক্ষার পর জানা যায় যে, সাধক সিদ্ধদেবের এক শিষ্য কাম্পিল্যা ওই শিবলিঙ্গ স্থাপন করেন। আরও জানা যায় যে, শিলালিপিটি এই অঞ্চলে একটি চক্র গুন্ডাম, একটি সারঙ্গধরা মাথম এবং একটি রুদ্রাক্ষ মঠমের উল্লেখ করেছে। এই তথ্য স্থানটির ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় তাৎপর্যকে তুলে ধরেছে। শ্রীশৈলম মন্দিরের সমৃদ্ধ ইতিহাসের অঙ্গ এই আবিষ্কার। অতীতে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের ঘটনাও রয়েছে। এর আগে পঞ্চমথ মন্দিরের সংস্কারের সময় বেশ কয়েকটি তাম্রফলক এবং রৌপ্য মুদ্রা-সহ একই এলাকায় একটি চতুর্মুখ লিঙ্গ আবিষ্কৃত হয়েছিল। এই আবিষ্কারগুলি মন্দিরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এর অবিচ্ছিন্ন ধর্মীয় তাৎপর্যকে স্বীকৃতি দিয়েছে। দুই হেক্টর জুড়ে বিস্তৃত এই মন্দির কমপ্লেক্সে ‘গোপুরাম’ নামে চারটি টাওয়ার রয়েছে, যা অসংখ্য ভাস্কর্য দ্বারা সজ্জিত। ‘মুকামণ্ডপ’, বা গর্ভগৃহের দিকে নিয়ে যাওয়া হলটিতে জটিল ভাস্কর্য স্তম্ভ রয়েছে, যা মন্দিরের স্থাপত্যের মহিমাকে তুলে ধরেছে। নয়া এই আবিষ্কার মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং ভক্তদের রোমাঞ্চিত করেছে। সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে নির্মাণ কাজ। লিঙ্গ ও শিলালিপির আরও পরীক্ষা এবং সংরক্ষণের সুবিধায় সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে।