অন্ধকার থেকে আলোর উৎস দিশারী যিনি , তিনিই গুরু। নিকশ অন্ধকারের অজ্ঞানতা থেকে জ্ঞানের আলোর দিকে পথ দেখান তিনি গুরু।আমাদের জীবনে পঞ্চ ইন্দ্রিয়র মতন ৫ জন গুরু প্রয়োজন। নাহলে ঘাটতি জীবন।
জন্মদাত্রী মা যিনি তার শরীরে সমস্ত নির্যাস দিয়ে আমাদের ভুমিষ্ঠ করেন ও তার পরম যত্নে আমাদের লালন করেন। আমাদের অন্তর আত্মার ও পালন কর্তার সাথে আমাদের পরিচয় ঘটান।মা যিনি পিতৃ পরিচয় ঘটান। পিতা যিনি, মায়ের সহযোগিতায় তার সন্তান কে জীবন দর্শন এর পথ এর সন্ধান দেন,একটি রেল ইঞ্জিন যেমন নিজে সামনে থেকে তার নির্ভরশীল কামরা গুলোকে বয়ে নিয়ে চলে। সঙ্গে যুক্ত, তেমনি পিতাও তার সন্তান কে পালন করে জীবনের সঠিক পথ এর সন্ধান দেন।
আমাদের শিক্ষা গুরু মা ও বাবার কাছ থেকে জীবনের প্রারম্ভিক শিক্ষা পাবার পর নিতে হয় শিক্ষা গুরুর আশ্রয়। শুরু হয় অক্ষরজ্ঞানিক পুঁথিগত শিক্ষা। আদর্শ গত শিক্ষা চর্চা শিক্ষা গুরু দিয়ে থাকেন। পুঁথিগত শিক্ষার সমাপ্তির পর। শুরু হয়, আমাদের কর্ম জগৎ যা আমাদের ভবিষ্যতের কর্মজগতের দিশারী। এই কর্মগুরু জীবন গঠনে অভিষ্ঠ পথও প্রদর্শক।
আমাদের বন্ধু যিনি সবসময় পাশে বিভিন্ন রূপে থেকে চলার পথ এর দিগ্ নির্দেশ করেন। কর্মজীবন কে আলোকিত করেন। যাতে আমরা আমাদের জীবনের লক্ষ থেকে দিগ্ ভ্রষ্ট না হই ও অগ্রগতি পায়। ভারতবর্ষে এই গুরু তত্ত্ব প্রাচীন সনাতন পরম্পরার মাধ্যমে এই গুরু পূর্ণিমায় পালন করা হয়ে থাকে। যাতে আমরা আমাদের গুরুকে তার যোগ্য সন্মান দিতে শিখি। গুরুকে অবহেলা ও অসম্মান করা মানে নিজের অর্জিত জ্ঞান ও শিক্ষার কোথাও অভাব আছে তা প্রকাশ করা। আমাদের জ্ঞান এর মধ্যে সনাতন হিন্দু ,বৌদ্ধ,জৈন ধর্মের মধ্যে এই পদ্ধতি পরম্পরায় চলে আসছে।
২১/০৭/২০২৪ গুরুপূর্ণিমার দিন অশোকনগর বিদ্যাসাগর বাণীভবনের প্রধান শিক্ষক ডক্টর মনোজ ঘোষের উদ্যোগে স্কুল প্রাঙ্গনে এই মাতৃ রূপে গুরু বন্দনার আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন, বৃহৎতর অশোকনগর হাবড়ার বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গরা। নিজের মা কে গুরু হিসাবে বন্দনা যেন শিশু মনে, জগৎ মাতৃকার বন্দনা ও যেন প্রাক শারদীয়ার সূচনা বলে মনেহয়।