ওয়েব ডেস্ক : হিমাচল প্রদেশের নতুন পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠছে ভোহাট কাসোল। বিলাসপুর জেলার একটি শান্ত গ্রাম ভোহাট কাসোল। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক আবিদ হুসেন সাদিক প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের একটি দলকে নিয়ে এই গ্রামের কোল বাঁধ সংলগ্ন মনোরম এলাকা খতিয়ে দেখেছেন। এই এলাকার পর্যটন সম্ভাবনা নিয়ে সমীক্ষা করেছেন। উল্লেখ্য, সারা বছর ধরে কোল জলাধারের জল স্থির থাকে। এই জলাধার ঘিরে ভোহাট কাসোলকে একটি বিস্তৃত পর্যটন গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানান সাদিক। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ভোহাট কাসোলকে একটি প্রাণবন্ত গ্রামীণ পর্যটন স্পটে পরিণত করা। তিনি আরও বলেন যে, এই উদ্যোগটি শুধুমাত্র পর্যটকদের জন্য ২০টিরও বেশি অ্যাডভেঞ্চার কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ দেবে না, সেই সঙ্গে গ্রামীণ জীবনের একটি সত্যিকারের স্বাদও দেবে। শহুরে পর্যটকরা এই অঞ্চলের খাঁটি, শান্ত জীবনধারায় নিজেদের ডুবিয়ে দেওয়ার সুযোগও পাবেন।
ভোহাট কাসোলের বিপুল পর্যটন সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, হিমাচল প্রদেশের কম পরিচিত গন্তব্যগুলির প্রতি পর্যটকদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। সোলান সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় পর্যটন হটস্পট হিসাবে সিমলাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ এই প্রবণতার কারণে রাজ্যের কম পরিচিত সম্ভাব্য পর্যটন কেন্দ্রগুলির গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। ২০২৪ সালে পর্যটনের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য উত্থানও দেখা গিয়েছে। জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ৭৪ লাখের বেশি পর্যটক রাজ্যে এসেছেন। আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে ৩.৫ শতাংশ। উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বিদেশী পর্যটকের সংখ্যাও। ২০২৩ সালে এর সংখ্যা ছিল ২৩,১৭৪। ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ৩২,৪১৫। সারা বিশ্বে এই অঞ্চলের আকর্ষণ ক্রমশ বাড়ছে। ফলে বলা যায়, ভোহাট কাসোলকে নিয়ে পরিকল্পনা সফল হলে এই অঞ্চলটি গ্রামীণ পর্যটনের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে উঠবে। উন্নয়ন শুধুমাত্র স্থানীয় অর্থনীতিকে উন্নত করবে না, পর্যটনের জন্য একটি টেকসই মডেলও তৈরি করবে।