ওয়েব ডেস্ক : কলকাতার কাছেই হাবরায় যশোর রোডের পাশে কুলপুকুর কালী মন্দির থেকে ঘুরে আসুন। ভালো লাগবে। এই মন্দিরের গায়ে লাগানো ফলক থেকে জানা যায় যে, ১৩৬১ সনের ফাল্গুন মাসে এখানে মাকালীর আরাধনা শুরু হয়েছিল। ১৪০০ সনে এই মন্দির পুনরায় তৈরি করা হয়। নিত্যপুজোর পাশাপাশি ফাল্গুন মাসে বাৎসরিক পুজো হয় এই মন্দিরে। বিশাল শোভাযাত্রা করে মায়ের নতুন মূর্তি ওইসময় মন্দিরে নিয়ে আসা হয়। লক্ষাধিক মানুষ সারারাত জেগে মায়ের পুজো দেখেন। এই কালী মন্দির জাগ্রত বলে বিশ্বাস করেন বহু মানুষ। তারা মনে করেন, মন থেকে মায়ের কাছে কিছু চাইলে মা ফেরান না কাউকেই। শোনা গিয়েছে, যশোর রোড দিয়ে যাওয়ার সময়ে যানবাহন চালকদের অনেকেই গভীর রাতে ওই মন্দির এলাকায় কখনও বুড়িমা আবার কখনও ছোট্ট শিশুকন্যার বেশে দেবীর উপস্থিতি অনুভব করেছেন। এমনকি দ্রুতগতির যানবাহনও মন্দির এর সামনে গিয়ে ধীরগতি হয়ে যায় বলেও জানান অনেকে।
কুলপুকুর কালী মন্দিরে মায়ের প্রতিমা ছাড়াও রয়েছে শিবলিঙ্গ ও মা মনসার প্রতিমা। এই মন্দিরে প্রতিদিন দুবেলা মায়ের পুজো হয়। বেলা ১২ টা ও সন্ধ্যা ৭টায় পুজো দিতে আসেন অগণিত ভক্ত। উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা শহরের কাছে হলেও কুলপুকুর কালী মন্দির গাইঘাটা থানা এলাকার অধীন। যদিও যোগাযোগ ভালো হাবরা থেকে। ছুটির দিনে শহুরে কোলাহল থেকে দূরে থাকতে ও একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পেতে চলে আসতে পারেন এই মন্দিরে। নিরিবিলিতে মায়ের পুজো দিয়ে মানসিক তৃপ্তি পাবেন। সকালে এসে যোগাযোগ করলে ভোগের প্রসাদও পেয়ে যাবেন। কুলপুকুর কালী মায়ের মন্দিরে সারাদিন কাটিয়ে ফিরেও যেতে পারবেন। কলকতা থেকে সড়কপথে গাড়ি নিয়ে সহজেই চলে আসতে পারবেন কুলপুকুর কালী মন্দিরে। এয়ারপোর্ট ১ নং থেকে যশোর রোড ধরে সোজা চলে আসা যাবে। ট্রেনে আসতে চাইলে শিয়ালদহ থেকে বনগাঁ, গোবরডাঙ্গা বা হাবড়া লোকালে হাবরা স্টেশনে নামুন। হাবরা থেকে গাইঘাটাগামী অটো বা বনগাঁগামী ডিএন ৪৪ নং বাসে কুলপুকুর কালী মন্দির।