ওয়েব ডেস্ক : চিত্রকুটের রানীপুর টাইগার রিজার্ভকে একটি ইকো-ট্যুরিজম গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তৈরি উত্তরপ্রদেশ সরকার। জানা গিয়েছে, এর জন্য বিশদ পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পটিকে বাস্তবে রূপ দিতে শুরু করেছে বন বিভাগ। ২৩০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত রানীপুর টাইগার রিজার্ভ উত্তরপ্রদেশের চতুর্থ এবং দেশের ৫৩তম বাঘ সংরক্ষণ কেন্দ্র। মধ্যপ্রদেশের পান্না টাইগার রিজার্ভ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে থাকা এই জঙ্গল বাঘ এবং চিতাবাঘ, চিঙ্কারা, ভালুক এবং সাম্বার হরিণ-সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
রানীপুর টাইগার রিজার্ভের পর্যটন সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকার বাঘ সংরক্ষণের প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করেছে। পরিবেশ বিধি মেনে টেকসই বৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এলাকাটিকে যত্ন সহকারে উন্নত করা হচ্ছে। পর্যটকদের সুবিধা বাড়াতে প্রাথমিক ভাবে বিলাসবহুল তাঁবু এলাকার প্রতি নজর দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। অন্যদিকে, উন্নত সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করার পাশাপাশি পর্যটকরা যাতে প্রকৃতির অতুলনীয় সৌন্দর্যে নিজেকে ডুবিয়ে দিতে পারেন সেই অনুমতি দেওয়া হবে। পার্কিং স্পেসের উন্নয়ন-সহ পরিকাঠামোর সার্বিক উন্নয়নের প্রতিও জোর দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ। পর্যটন সুবিধার উন্নয়ন এবং পার্শ্ববর্তী বাফার জোনের পরিকাঠামো উন্নত করার দিকে নজর দিয়েছে। এই উন্নয়নের জন্য সরকার প্রায় ৩৮ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯৭৭ সালে উত্তরপ্রদেশের চিত্রকূট জেলায় রানীপুর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এই অভয়ারণ্যে রয়েছে নেকড়ে, নীল ষাঁড়, চিঙ্করা, সাম্বার, চিতাবাঘ এবং কালো হরিণ-সহ বিভিন্ন ধরণের প্রাণী। পাশাপাশি রয়েছে বাঁশ, পালস, খয়ের, সালাই, তেন্ডু এবং অন্যান্য গাছপালা। পাহাড়, নদী এবং মৌসুমী প্রবাহে ঘেরা এই অভয়ারণ্যে বাঘ-সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর জন্য অনুকূল পরিবেশ রয়েছে।