ওয়েব ডেস্ক : ১৯২৪ থেকে ২০২৪। ১০০ বছরে পদার্পণ করল কলকাতা বিমানবন্দর।দীর্ঘ পথচলায় নানান ঘটনা ও দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের এই প্রবেশদ্বার। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ-এর রাজকীয় উপস্থিতি থেকে কিউবার রাষ্ট্রপতি ফিদেল কাস্ত্রোর মতো বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতি বা বিশ্বের প্রথম সুপারসনিক বাণিজ্যিক জেট কনকর্ড-এর কুখ্যাত দুর্ঘটনার মতো ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে এবং নিজস্ব উন্নয়ন এবং আধুনিকীকরণের প্রক্রিয়ায় ঐতিহাসিক ঘটনাগুলিকে প্রাধান্য দিয়ে শতবর্ষ উদযাপন শুরু করেছে কলকাতা বিমানবন্দর।
দেশের অন্যতম প্রাচীন এই বিমানবন্দরে বিভিন্ন সময়ে অবতরণ করেন ইংল্যান্ডের রানী ছাড়াও মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদেল নাসের, প্রতিবন্ধী অধিকারের আইনজীবী হেলেন কেলার এবং বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান-এর মতো বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।জানা গিয়েছে, শতবর্ষ উদযাপনে বিমানবন্দরের ইতিহাসের একটি প্রদর্শনী, পুরোনো ছবি, নথি এবং এই বিমানবন্দরের উন্নয়নের গল্প তুলে ধরে তা যাত্রীদের দেখার জন্য সারা বছর টার্মিনাল ভবনে প্রদর্শিত করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বরে কিউবার রাষ্ট্রপতি ফিদেল কাস্ত্রো কলকাতা বিমানবন্দর পরিদর্শন করেছিলেন। একইভাবে ১৯৫৫ সালের মার্চে হেলেন কেলার এবং ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুজিবুর রহমান এই বিমানবন্দরে পা রেখেছিলেন।বিমানবন্দরে তোলা একটি ঐতিহাসিক স্ন্যাপশটে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এবং মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদেল নাসের এক ফ্রেমে রয়েছেন। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য ঘটনা যে, রসায়নে নোবেল বিজয়ী স্যার রবার্ট রবিনসন ১৯৫৫ সালে কলকাতায় আসেন। দমদমে এই বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান সত্যেন বোস এবং মেগনাদ সাহা।
আরও জানা গিয়েছে যে, বিমানবন্দরের আর্কাইভে একটি হ্যাঙ্গারের সামনে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের একটি অমূল্য ছবি রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ বিধান চন্দ্র রায়ের একটি ছবি। যখন তিনি বিমানবন্দরে ডিউক অফ এডিনবার্গ, প্রিন্স ফিলিপের সঙ্গে তার মন্ত্রীদের পরিচয় করিয়ে দেন। ১৯৬১ সালে একই ফ্রেমে বন্দী রয়েছেন ডক্টর রায় এবং পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর পদ্মজা নাইডু, রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং ডিউক অফ এডিনবার্গ। ১৯৭০ সালে নতুন করে নির্মিত টার্মিনাল পরিদর্শন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি। এর নথিপত্রও সংগ্রহে রয়েছে। উল্লেখ্য, দমদম বিমানবন্দর কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে পরিচিত হয়। পরে ১৯৯৫ সালে এই বিমানবন্দরের নাম হয় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। শনিবার এই বিমানবন্দরে শতবর্ষ বিমান পরিষেবার ১০০ বছর উদযাপনের সূচনা হয়েছে। চলবে.২৯ মার্চ পর্যন্ত।