ওয়েব ডেস্ক : ছুটির দিনে ঘুরে আসুন ঝালুয়ারবেড়। কলকাতার একদম কাছে একদিন সবুজ পরিবেশে হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। অরণ্য ভ্রমণের অভিজ্ঞতা মিলে যাবে। যে কারণে ঝালুয়ারবেড়কে অনেকেই দক্ষিণ বাংলার ডুয়ার্স বলে। যদিও ডুয়ার্সের সঙ্গে এর তুলনা চলে না। ডুয়ার্সের মতো ঘন বন, জীববৈচিত্র্য এবং পরিবেশ এখানে পাওয়া না গেলেও
ঝালুয়ারবেড়-এর প্রাকৃতিক শোভা, রহস্যময়তা অনেক পর্যটককেই এখন আকর্ষণ করছে। স্থানীয়রা ঝালুয়ারবেড়কে মিনি ডুয়ার্স বলেন। নির্জন পরিবেশই
ঝালুয়ারবেড়-এর প্রধান আকর্ষণ। ঝালুয়ারবেড় হাওড়া জেলায় অবস্থিত। সেখানে প্রকাশ্য দিবালোকেও শিয়ালের ডাক উপভোগ করতে পারবেন। উল্লেখ্য, ১৮৯৭ সালে ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ঝালুয়ারবেড় রেলস্টেশন। ১৯৭১ সালে একবার ঝালুয়ারবেড় এবং সাঁতরাগাছির মধ্যে রুটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০০৪ সালে ফের এই রেলপথ চালু হয়। প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে এই জায়গাটি একটি আদর্শ জায়গা। পাখির কলকাকলি ও অনেক পরিচিত এবং অজানা গাছ অতিরিক্ত আকর্ষণ হবে তাদের। কম ভিড়ের জায়গা হওয়ায়, ঝালুয়ারবেড় তাদের জন্য আদর্শ যারা নীরবতা পছন্দ করেন।
ঝাউয়ারবেড়ের প্রধান আকর্ষণ এর পরিবেশ। সুন্দর সবুজ আপনার চোখকে তৃপ্ত করবে। এই জায়গাটিকে ভূতুড়েও মনে হবে। স্টেশনের কাছাকাছি শিব মন্দির, পুল, বটগাছ এবং অন্যান্য স্থানীয় এলাকা দেখে নিতে পারেন। হরকালী মন্দির স্থানীয় মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এখানে কেবল শিবই নয়, দেবী কালীর পূজা করা হয়। পাশাপাশি রয়েছে জগন্নাথ দেবের মন্দির।
ঝালুয়ারবেড় প্রতিটি ঋতুতে ভিন্ন রূপের, তবে শীত এবং বর্ষায় খুবই সুন্দর। এখানে আপনি বাঁক নেওয়া রেলপথ উপভোগ করবেন। ট্রেন যখন স্টেশনে পৌঁছাবে অথবা স্টেশন ছেড়ে যাবে, তখন আপনি এর সৌন্দর্য উপভোগ করবেন। সুন্দর বাঁকানো একক রেখা এবং জঙ্গল পর্যটকদের আকর্ষণ করবেই।
কিভাবে যাবেন
হাওড়া আমতা রুটের একটি স্টেশন ঝালুয়ারবেড়। হাওড়া থেকে ঝালুয়ারবেড় যেতে ৫০ মিনিট সময় লাগে। তবে প্রথমে ট্রেনের সময় জেনে নিন তারপর এখানে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করুন।
আরেকটি রুট হলো, ডানকুনি থেকে এখানে পৌঁছানো যায়। ডানকুনি এবং ঝালুয়ারবেড়ের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ১১ কিলোমিটার। সময় লাগবে প্রায় ৪০ মিনিট।
আশ্চর্যজনক তথ্য হলো ঝালুয়ারবেড় -এ একটিই প্ল্যাটফর্ম। এই যুগে এটি প্রায় বিরল।