ওয়েব ডেস্ক : এখন রথের মরশুম। রথযাত্রা উৎসব এবং মেলায় মেতে আছেন বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। মেতে আছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ছোট্ট জনপদ অশোকনগরও। ভিন্ন মাত্রার রথযাত্রা দেখতে হলে অবশ্যই আসতে হবে এই শহরে। কলকাতার কাছেই এই মফস্বল শহর। বয়স প্রায় ৭৫ বছর। অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার বয়স আরও কম। ছোট্ট এই শহরের ৫টি জায়গায় অনুষ্ঠিত হয় রথযাত্রা উৎসব। ৩ নম্বর স্কিম স্টেডিয়াম লাগোয়া বিশ্বকবি রোডে রথযাত্রা উপলক্ষে মেলাও বসে। এছাড়া রথযাত্রা হয় অশোকনগর স্টেশন এলাকায়, গোলবাজারে, কল্যাণগড় বাজারে আর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দমঠ পল্লীতে পিরবাবার পুকুরের পারে গৌরাঙ্গ মন্দিরে। এরমধ্যে ব্যতিক্রম গৌরাঙ্গ মন্দিরের রথযাত্রা। কারণ, রথের দিন গৌরাঙ্গ মন্দিরের রথ বেরিয়ে মাসির বাড়ি অর্থাৎ জাগরণী ক্লাবের কাছে চৌধুরি বাড়িতে যায়। সেখানে জগন্নাথ দেবকে আদরে রাখেন চৌধুরি পরিবার। ৭ দিন ধরে সেখানে নানান ধর্মীয় আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ভক্তদের মধ্যে নিয়মিত ভোগ প্রসাদ বিতরণ করেন চৌধুরি পরিবারের সদস্যরা। হাজার হাজার মানুষ মাসির বাড়ির এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। জানা গিয়েছে, গৌরাঙ্গ মন্দিরের রথ একসময় যেত গোলবাজারে হরি মন্দিরে। উল্টো রথের দিন ফিরে আসত। পরবর্তীতে মন্দির কমিটির প্রস্তাবে রাজি হয়ে রথের দিন থেকে উল্টো রথ পর্যন্ত জগন্নাথ দেবের দায়িত্ব নেয় চৌধুরি পরিবার। পরিবারের মুখ্য কর্মকর্তা দিলীপ চৌধুরির উদ্যোগে রথযাত্রা উৎসব সাধারণ মানুষের উৎসব হয়ে ওঠে। যদিও দিলীপ চৌধুরি এখান নেই। প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু রথযাত্রা উৎসবের সেই ধারা এখনও বজিয়ে রেখেছে চৌধুরি পরিবার। পরিবারের অন্যতম সদস্য ভোলা চৌধুরি জানান, বছরে কয়েকদিনের জন্য জগন্নাথ দেব বাড়িতে আসেন। পরিবারের উন্নতি হয়েছে। যার ফলে আরও বড়ো করে উৎসবের আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে।
https://fb.watch/logxuovtRJ/