পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একান্নবর্তী পরিবার এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এই সময়ে একান্নবর্তী পরিবারের মিলনক্ষেত্র অশোকনগর কালোবাড়ির সাহা পরিবারের দুর্গাপুজো। সালটা ১৯২৬। অধুনা বাংলাদেশের পাবনা জেলার নাটাবাড়ির ১৩ বছরের এক কিশোর সতেন্দ্রনাথ সাহা মনের খেয়ালে জগৎ জননী দুর্গার মূর্তি গড়ে তুলে নিজের মতো করে পুজো শুরু করে। পরবর্তীকালে সত্যেন্দ্রর পরিবারও তাঁর ওই পুজোকে মান্যতা দেয়। সাহা পরিবারে সেই শুরু দুর্গাপুজোর। দেশভাগের পর এপার বাংলার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে সত্যেন্দ্রর পরিবার। তাঁর তিন ভাইও তাঁদের পরিবারকে নিয়ে এপার বাংলার অন্যত্র বাসা বাঁধেন। সত্যেন্দ্রনাথ সাহার প্রয়াণের পর পুজো কিন্তু বন্ধ হয়ে যায়নি। পারিবারিক সেই পুজোর পরম্পারা আজও বহন করে চলেছেন বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম উত্তরাধিকারী বিশ্বেশ্বর সাহা। বিশ্বেশ্বর সাহা জানান, তিনি পুজোর আয়োজক মাত্র। সমগ্র পুজোর খরচ বহন করে স্বর্গীয় সতেন্দ্রনাথ সাহার আরও তিন ভাইয়ের উত্তরাধিকারীরা। আর ষষ্ঠী থেকে দশমী ১১০০/১ অশোকনগর ঠিকানায় সত্যেন্দ্রর বাড়ি যেন হয়ে ওঠে পারিবারিক মিলন ক্ষেত্র। বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো ৪ দিনের জন্য হলেও এক করে দেয় একান্নবর্তী পরিবারের সদস্যদের।
Due to the changed circumstances, the same family is no longer to be found. Durga Puja of the Saha family of Ashoknagar Kalobari, the meeting place of the Ekannabarti family at this time. The year is 1926. Satendranath Saha, a 13-year-old boy from Natabari in Pabna district of present-day Bangladesh, built an idol of Jagat Janani Durga to his heart’s desire and started the puja in his own way. Later Satyendra’s family also accepted his puja. In the Saha family, that is the beginning of Durga Puja. After partition, Satyendra settled permanently in Ashoknagar, North 24 Parganas district of Far Bengal.